+
-
R
[দয়াময়, পরম করুণাময় আল্লাহ্র নামে]
ভূমিকা ও সার সংক্ষেপ :
সম্ভবতঃ সূরাটি মক্কী সূরা যদিও অনেকে মনে করেন যে, সূরাটি মদিনাতে অবতীর্ণ হয়েছে।
সুরাটির বিষয় বস্তু হচ্ছে কদরের রাত্রি বা মহিমান্বিত রাত্রি, যে রাত্রিতে রাসুলের (সা) নিকট জিব্রাইল ফেরেশতার মাধ্যমে প্রথম কোরাণ অবতীর্ণ করা হয়।
[দয়াময়, পরম করুণাময় আল্লাহ্র নামে]
৬২১৭। দেখুন [ ৪৪ : ৩ ] আয়াত ও টিকা ৪৬৯০। ২৩শে, ২৫শে ও ২৭শে রমজানের রাত্রিকে শবে কদরের রাত্রি বলে অভিহিত করা হয় অবশ্য অনেকে রমজানের শেষ দশদিনের যে কোন বেজোড় রাত্রিকে এই নামে অভিহিত করেন। দেখুন এই সূরার ভূমিকা। ৩নং আয়াতে এই রাত্রির বৈশিষ্ট্য সম্বন্ধে বলা হয়েছে। এই রাতের এবাদত সহস্র মাসের এবাদত অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। এই রাত সময়ের সীমানাকে অতিক্রম করে যায়। আল্লাহ্র অসীম ক্ষমতায় তাঁর প্রত্যাদেশের সত্যের আলো অজ্ঞতার অন্ধকারকে দূর করে দেয় এই রাত্রিতে।
৬২১৯। 'রূহু ' শব্দটি দ্বারা সাধারণতঃ জিব্রাইল ফেরেশতাকে বুঝানো হয়।
৬২২০। আত্মিক অন্ধকার মানুষকে করে ভয়ে শঙ্কিত,ভীত, অস্থির ও অশান্ত। কিন্তু যখন আধ্যাত্মিক জগতের এই অন্ধকার দূরীভূত হয় এবং আল্লাহ্র নূরে হৃদয় হয় আলোকিত, তখন হৃদয়ের মাঝে এক বিরল প্রশান্তি নেমে আসে। মোমেন বান্দার এই আধ্যাত্মিক শান্তি আমৃত্যু বিরাজ করে। এর পরে মৃত্যুর সিংহ দুয়ার পেরিয়ে সে যখন পরলোকের জীবনে প্রবেশ করে, সে পৃথিবী হবে নূতন পৃথিবী নূতন আঙ্গিকে। যে পৃথিবীর তুলনায় বর্তমান পৃথিবীর দিন ও রাত্রিকে মনে হবে খুবই ক্ষণস্থায়ী -ক্ষণিকের স্বপ্নের ন্যায়।

সূরা কাদ্র
সূরা কাদ্র বা মহিমান্বিত রজনী - ৯৭
৫ আয়াত, ১ রুকু, মক্কী[দয়াময়, পরম করুণাময় আল্লাহ্র নামে]
ভূমিকা ও সার সংক্ষেপ :
সম্ভবতঃ সূরাটি মক্কী সূরা যদিও অনেকে মনে করেন যে, সূরাটি মদিনাতে অবতীর্ণ হয়েছে।
সুরাটির বিষয় বস্তু হচ্ছে কদরের রাত্রি বা মহিমান্বিত রাত্রি, যে রাত্রিতে রাসুলের (সা) নিকট জিব্রাইল ফেরেশতার মাধ্যমে প্রথম কোরাণ অবতীর্ণ করা হয়।
সূরা কাদ্র বা মহিমান্বিত রজনী - ৯৭
৫ আয়াত, ১ রুকু, মক্কী[দয়াময়, পরম করুণাময় আল্লাহ্র নামে]
১। নিশ্চয়ই, আমি এই [ কুর-আন ] অবতীর্ণ করেছি মহিমান্বিত রজনীতে ; ৬২১৭
৬২১৭। দেখুন [ ৪৪ : ৩ ] আয়াত ও টিকা ৪৬৯০। ২৩শে, ২৫শে ও ২৭শে রমজানের রাত্রিকে শবে কদরের রাত্রি বলে অভিহিত করা হয় অবশ্য অনেকে রমজানের শেষ দশদিনের যে কোন বেজোড় রাত্রিকে এই নামে অভিহিত করেন। দেখুন এই সূরার ভূমিকা। ৩নং আয়াতে এই রাত্রির বৈশিষ্ট্য সম্বন্ধে বলা হয়েছে। এই রাতের এবাদত সহস্র মাসের এবাদত অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। এই রাত সময়ের সীমানাকে অতিক্রম করে যায়। আল্লাহ্র অসীম ক্ষমতায় তাঁর প্রত্যাদেশের সত্যের আলো অজ্ঞতার অন্ধকারকে দূর করে দেয় এই রাত্রিতে।
২। কি ভাবে তুমি জানবে মহিমান্বিত রজনী কি ?
৩। মহিমান্বিত রজনী সহস্র মাস অপেক্ষা উত্তম। ৬২১৮
৩। মহিমান্বিত রজনী সহস্র মাস অপেক্ষা উত্তম। ৬২১৮
৬২১৮। এই আয়াতের সহস্র মাস শব্দটি আক্ষরিক ভাবে অর্থ করার কোন অবকাশ নাই। 'সহস্র মাস' শব্দটি দ্বারা সীমাহীন সময়কে বুঝানো হয়েছে। দেখুন [ ৩২ : ৪ - ৫] আয়াতের টিকাদ্বয় ৩৬৩২ ও ৩৬৩৪; এবং [ ৭০ : ৪ ] আয়াতের টিকা ৫৬৭৮ক। আল্লাহ্র হেদায়েতের আলোতে এক মূর্হুতের জন্য আলোকিত হওয়া হাজার হাজার বছর ব্যপী পশু জীবন যাপন অপেক্ষা শ্রেয়। মানুষের জীবনে যখন এরূপ কোন মূহুর্ত আসে তবে সেই মূহুর্তে আত্মিক অন্ধকার কেটে যায় এবং আত্মা সৌন্দর্য মন্ডিত হয়ে দ্যুতি বিকিরণ করে।
কবির ভাষায়:
আজি এ প্রভাতে রবির কর
কেমনে পশিল প্রাণের 'পর,
কেমনে পশিল গুহার আঁধারে প্রভাত পাখির গান!
না জানি কেন রে এতদিন পরে জাগিয়া উঠিল প্রাণ।
৪। সে রাত্রিতে ফেরেশতারা ও রূহু ৬২১৯ তাদের প্রভুর আদেশক্রমে প্রত্যেক কাজের জন্য অবতীর্ণ হয়।
৬২১৯। 'রূহু ' শব্দটি দ্বারা সাধারণতঃ জিব্রাইল ফেরেশতাকে বুঝানো হয়।
৫। শান্তি ! উহা থাকে ফজর পর্যন্ত। ৬২২০
৬২২০। আত্মিক অন্ধকার মানুষকে করে ভয়ে শঙ্কিত,ভীত, অস্থির ও অশান্ত। কিন্তু যখন আধ্যাত্মিক জগতের এই অন্ধকার দূরীভূত হয় এবং আল্লাহ্র নূরে হৃদয় হয় আলোকিত, তখন হৃদয়ের মাঝে এক বিরল প্রশান্তি নেমে আসে। মোমেন বান্দার এই আধ্যাত্মিক শান্তি আমৃত্যু বিরাজ করে। এর পরে মৃত্যুর সিংহ দুয়ার পেরিয়ে সে যখন পরলোকের জীবনে প্রবেশ করে, সে পৃথিবী হবে নূতন পৃথিবী নূতন আঙ্গিকে। যে পৃথিবীর তুলনায় বর্তমান পৃথিবীর দিন ও রাত্রিকে মনে হবে খুবই ক্ষণস্থায়ী -ক্ষণিকের স্বপ্নের ন্যায়।